Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped



শিরোনাম
অদম্য সাহসী উদ্যোক্তা সিংড়ার রুপালী বেগমের সফলতার গল্প
ছবি
ডাউনলোড
এনএটিপি-২ প্রকল্প প্রান্তিক পর্যায়ের মৎস্য চাষিদের পুকুরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি তথ্য চাষিদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে। এই লক্ষ্যে চাষিদের মাঝে মাছচাষের উন্নত প্রযুক্তি প্রদর্শনী, পরামর্শ ও মাঠ দিবস আয়োজন করা হয়। স্থাপিত প্রদর্শনীতে চাষিদের মাছ চাষের উপকরণ সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়। মাঠ দিবসে ঐ এলাকার চাষিদেরকে প্রদর্শনী চাষির পুকুরের ফলাফল দেখানো হয়, যাতে মাছ চাষিরা উন্নত প্রযুক্তির ফলাফল সরেজমিনে দেখতে পারে। মাঠ দিবসে চাষিরা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নোত্তর, পারস্পারিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তির চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং নতুন প্রযুক্তির চাষ পদ্ধতি গ্রহণ করে নিজেদের পুকুরে প্রয়োগ করতে পারেন। এরূপ একটি সফলতার বাস্তবায়ন হয়েছে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার আগপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ রুপালী বেগমের পুকুরে। তাঁর বাড়ির সাথেই রয়েছে ৩৩ শতক আয়তনের ছোট্ট একটি পুকুর। সেখানে সনাতন পদ্ধতিতে মাছচাষ করা হতো এবং লাভ হতো খুবই সামান্য। রুপালী বেগম ২০১৯ সালে শেরকোল ইউনিয়নে স্থাপিত মোঃ জাহিদুল ইসলামের প্রদর্শনীর মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি জাহিদুলের পুকুরের কার্প মিশ্রচাষ প্রযুক্তির প্রদর্শনীর ফলাফল দেখে এই প্রযুক্তিতে মাছ চাষে খুবই আগ্রহী হন এবং বাসায় গিয়ে তার স্বামীর সাথে বিষয়টি আলোচনা করেন। তাঁর স্বামী তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। বাড়ির পাশের পুকুরে তিনি ২০২০ সালের মার্চ মাসে কার্প জাতীয় মাছের চাষাবাদ শুরু করেন। বড় আকারের পোনা অল্প সংখ্যক গুণে গুণে মজুদ করেন। নিয়মিত সঠিক পরিমাণে মাছের খাবার, প্রয়োগ করেন।


চিত্রঃ নিজের পুকুরের মাছের খাবার দিচ্ছেন রূপালী বেগম


এনএটিপি-২ প্রকল্প হতে এআইএফ-৩ ফান্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত তাঁর স্বামীর পিলেট মেশিনে তৈরি করা খাদ্য ব্যবহার করেন। এজন্য তাঁর মাছের উৎপাদন খরচ কম হয়। এছাড়া, নিয়মিত বিরতিতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি পরিবর্তন করেন। প্রায় ৮ মাস চাষ করার পর ২০২০ নভেম্বর মাসে এক বিঘা পুকুর হতে প্রায় ৯৯৫ কেজি মাছ আহরণ করেন এবং বাজারজাত করে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আয় করেন। সব খরচ বাদে লাভ হয় প্রায় ৮০ হাজার টাকা। তাঁর পুকুরের উৎপাদন আগের বছরের উৎপাদনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন বেশি হয়।


তাঁর এই সাফল্যে উচ্ছসিত রুপালী বেগম বলেন, 'ছোট্ট একটি পুকুরে এত মাছ উৎপাদন আমি স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি। সঠিকভাবে করতে পারলে মাছচাষ আসলেই অনেক লাভজনক।' রূপালীর সাফল্যে তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরাও অনেক খুশি। মৎস্য চাষে তাঁর এই  ফলাফল দেখে অন্যান্য চাষিরাও উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।

চিত্রঃ নিজের পুকুরের পাশে চাষকৃত মাছ হাতে রূপালী বেগম

ডেল কার্নেগী যথার্থই বলেছেন, "যার মাঝে সীমাহীন উৎসাহ, বুদ্ধি ও একটানা কাজ করার গুণ থাকে, তবে ভার সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি”।